করোনা যুদ্ধে জয়ী যুবক ফিরে এসে সচেতন করছেন অন‍্যদের বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায়

22nd June 2020 1:31 pm বাঁকুড়া
করোনা যুদ্ধে জয়ী যুবক ফিরে এসে সচেতন করছেন অন‍্যদের বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরে গ্রামবাসীদের এই 'মারণ রোগ' সম্পর্কে সচেতন করতে পথে নেমেছেন বছর বাইশের রফিক শেখ। 'লক ডাউনের' মধ্যেই ২৬ মে মুম্বাই থেকে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের শেওড়াবনি গ্রামে ফিরে থাকতে শুরু করেন এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। পর দিনই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দপ্তর। পরে সেই কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ওন্দা কোভিড হাসপাতালে। সেখানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ৯ জুন বাড়ি ফিরে ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার পর এই রোগ সম্পর্কে জন সচেতনতা করতে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন।

    কিন্তু ঐ মাঝের সময়টা মোটেই সুখের ছিলনা রফিক শেখ ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে। তার বাবা বাবুলাল শেখ বলেন, প্রথম দিকে মানুষ ভুল বুঝেছিল। অনেকেই নানান কথা বলতো। ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর মানুষের ভুল ভেঙ্গেছে। এখন সবাই আগের মতো আচরণ করে। আর ছেলেই তো এখন গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এটাও অন্যতম ভালো লাগার বিষয় বলে তিনি জানান।

   রফিক শেখ নিজে এবিষয়ে বলেন, করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনো নানান ধরণের আতঙ্ক রয়েছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এবিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে মানুষকে যথাসম্ভব বোঝানোর চেষ্টা তিনি করছেন বলে জানান।

  পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শাজাহান শেখ বলেন, ঐ যুবকের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তার পরিবারকে 'একঘরে' করে রাখা হয়েছিল স্বীকার করে তিনি বলেন, এখন সব স্বাভাবিক। ও নিজেই এখন গ্রামের মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করছে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।